হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভারতের সঙ্গে কোনো গোপন চুক্তি হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে কোনো গোপন চুক্তি করেনি সরকার বরং জনগণকে না জানিয়ে চীনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছিল বিএনপি।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে এখন সুস্থ গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে।’

প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় কোন কোন দেশের সঙ্গে সামরিক সমঝোতা বা চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন, কাতার, কুয়েত, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের আর ভারত সফরে করা চুক্তিগুলো করা হয়েছে এ দেশের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে।

শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তি বা চুক্তিটা হয়েছিল সেটা কিন্তু তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যখন এই চুক্তিটি করে তখন কিন্তু একটি কথাও তাঁরা বাংলাদেশের কাউকে জানতে দেয় নাই। এটা হলো বাস্তবতা।’

‘ভারত সফরকালে যেসব চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তার সবগুলো এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকই দেশের স্বার্থবিরোধী নয়।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, তাঁর সরকার ও আমার সরকার ক্ষমতায় থাকতেই তিস্তার পানিবণ্টনের চুক্তি হবে।’

ভারতের সঙ্গে চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন শিগগিরই শুরু হবে বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংসদ নেতা বলেন, ‘যখন আমরা আইপিইউ সম্মেলন করি, সেই সম্মেলনে যখন সব দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন এবং অত্যন্ত সফলভাবে একটা সম্মেলন হয়েছে। এরপর যারা ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, আমার মনে হয় অন্তত তাদের ঘটে একটু পানি আসার দরকার। আশা করি, সফল আইপিইউ সম্মেলনের পর তারা এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন করবে না।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের পার্লামেন্টে এখন আর খিস্তি-খেউর হয় না, নোংরা কথা হয় না। এখন একটা সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়। এটাই প্রমাণিত হয়েছে।’

বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তাই করা হবে বলে আবার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তবে তা অব্শ্যই দেশবিরোধী উপায়ে নয়।এনটিভি

মন্তব্যসমূহ