হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আইএস হলো মার্কিন পণ্য: হামিদ কারজাই

আফগানিস্তানে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের উত্থানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তিনি বলেন, আইএস হলো মার্কিন পণ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ নেটওয়ার্কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

হামিদ কারজাই বলেন, ওয়াশিংটন নিজের তৈরি কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ বজায় রেখেছে।


তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানে ২০১৫ সালে মার্কিন উপস্থিতিতেই বিদেশী মদদপুষ্ট এ গোষ্ঠীর অভ্যুদয় ঘটেছে।

আফগানিস্তানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে তৎপর আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য নাম-চিহ্নহীন হেলিকপ্টার থেকে রসদ সরবরাহ করার নিয়মিত খবর পাওয়া যায়। ওয়াশিংটনকে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

গত মাসে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগারহারে মার্কিন সবচেয়ে বড় অ-পারমাণবিক বোমা মোয়্যাব বা এমওবিএ ফেলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএসের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে এ হামলা চালানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রথম আইএস এসে ওই এলাকা থেকে মানুষজনকে হটিয়ে দিয়েছে তারপর যুক্তরাষ্ট্র তার বড় বোমা ফেলেছে।

বড় এ বোমা ফেলাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আইএসের যৌথ অপারেশন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ভূমিতে যুক্তরাষ্ট্র এ বোমা পরীক্ষা করতে চেয়েছে।

মন্তব্যসমূহ