শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

বাংলাদেশে এবছরের এপ্রিলে গত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, স্বাভাবিকের তুলনায় ২০১৭ সালের ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত ১১৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মাসের বাকি সময়টা আর বৃষ্টি না হলেও স্বাভাবিকের তুলনায় এমাসে ৬৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি থাকবে।
বাংলাদেশে এপ্রিলে এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে। সেটি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫,২৮৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, সোমবার থেকে বাংলাদেশের অনেক এলাকায়, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি কমে যাবে বলে তারা আশা করছেন। তবে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি কমতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
বাংলা বৈশাখ মাসের এ সময়টাতে যখন খটখটে রোদ থাকার কথা, সেখানে গত কয়েকদিন দেশব্যাপী অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত অনেককেই অবাক করেছে।
বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগে পড়েছে হাওরাঞ্চলে মাসের শুরু থেকেই আকস্মিক বন্যার শিকার মানুষেরা।
এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে প্রবল বর্ষণ এবং অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থার কারণে অনেক রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। রাজধানী ঢাকায়ও সাময়িকভাবে ডুবে গেছে বেশ কিছু রাস্তা।
হঠাৎ এই অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে আবহাওয়াবিদ মি. রশিদ বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপ দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয় থাকায় অসময়ে বৃষ্টিপাত এবার বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন, গতমাসেও বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল।
“বৃষ্টিপাত কমে গেলে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে”।

গত প্রায় ৩৭ বছরে আট বার এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৯৮১ সালের এপ্রিলে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৬৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ