হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বন্দী পিতার উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনি মেয়ের আবেগঘন চিঠি

হামাস নেতা আবদুল্লাহ বারগুতি ইসরাইলের জেলে বন্দী। অত্যাচারী ইসরাইলের আদালত তাকে ৬৭ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আজ এক সপ্তাহ ধরে আবদুল্লাহ বারগুতির নেতৃত্বে ইসরাইলের জেলেখানায় অনশন করছে ফিলিস্তিনি বন্দীরা।

আবদুল্লাহ বারগুতির ১৪ বছরের মেয়ে সাফা গত বৃহস্পতিবার স্কুলের এক অনুষ্ঠানে তার বাবার উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পাঠ করে। সাফা রামাল্লার ওয়েস্ট ব্যাংকের কাসেম আল রামি গার্লস স্কুলের ছাত্রী। সে এক মাস বয়সে থাকতে তার বাবাকে ইসরায়েলি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

তার আবেগঘন চিঠির অংশবিশেষ :

‘‘তোমাকে দেখার, তোমার সাথে থাকার অধিকার আমার আছে বাবা!

“বাবা, তুমি আমাদের গর্বের অনন্ত উৎস। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা। প্রতি দিন প্রতি ক্ষণে আমি তোমাকে স্মরণ করি, তুমি জেগে থাকো আমার চেতনায়। তুমি অবিচল থাকো বাবা! আল্লাহর দয়ায় আগামী বছর তুমি আমাদের সাথেই থাকবে।”

“আমি আবার বলছি, তোমাকে দেখার, তোমার সাথে থাকার অধিকার আমার আছে বাবা! কারণ আমি এ কথা তোমাকে বার বার বলতে পারি না। কেননা তুমি ছাড়া আমার জীবন অন্ধকার।’’

হামাস নেতা বারগুতি ২০০৩ সালে ইসরাইলি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযানে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সামরিক কোর্ট সর্বোচ্চ ৬৭ বছর কারাদণ্ড দেয়।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

মন্তব্যসমূহ