হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বাবাকে দেওয়া বাংলাদেশের সম্মাননা ফিরিয়ে দেবেন হামিদ মীর

পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর তার বাবাকে দেওয়া বাংলাদেশের মৈত্রী-সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ডেইলি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,  ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ নামের ওই সম্মাননার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানকে ধোঁকা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হামিদ মীর।

হামিদ মীরের বাবা অধ্যাপক ওয়ারিশ মীর।  ১৯৭১ সালে যে ক’জন পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) সংঘটিত পাকিস্তানি গণহত্যার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন, অধ্যাপক ওয়ারিশ মীর ছিলেন তাদের একজন। ২০১৩ সালে তার মুক্তিযুদ্ধকালীন এই ভূমিকার স্বীকৃতি দেয় সরকার। অধ্যাপক মীরকে বিদেশি সুহৃদদের জন্য ঘোষিত ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার জিও নিউজের ‘ক্যাপিটাল টক’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হামিদ মীর ওই অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন, ‘ওই পুরস্কার গ্রহণের সময় আমরা ভেবেছিলাম, শেখ হাসিনা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ওই সম্মাননা দিচ্ছেন। তবে এর পর থেকে তিনি শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপই করে গেছেন।’ হামিদ মীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চান না। বাংলাদেশ সরকার ওই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের ধোঁকা দিয়েছে’।
হামিদ মীর জিও নিউজের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে অধ্যাপক ওয়ারিশ মীরসহ পাঁচ পাকিস্তানিকে সম্মাননা প্রদান করেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ওয়ারিশ মীরের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন হামিদ মীর। এছাড়াও বিপ্লবী কবি হাবীব জালিবের মেয়ে তাহিরা জালিব, প্রখ্যাত কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের মেয়ে সেলিমা হাশমি, মালিক গুলাম জিলানির মেয়ে আসমা জাহাঙ্গীর এবং গাউস বক্স বিজেনজোর ছেলে হাসিল বক্স বিজেনজো সম্মাননা গ্রহণ করেন।

ওই সম্মাননা অনুষ্ঠানে হামিদ মীর বলেছিলেন, ‘আমরা জানি, আজ আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া অনেককেই সম্মান জানাতে পারবো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের নামই হয়তো আমরা জানি না। যারা নিঃশব্দে ওই যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন।’  বাংলাট্রিবিউন

মন্তব্যসমূহ