হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মুসলিমদের কথা না ভেবে হিন্দুদের দিকে নজর দিন: কামরুজ্জামান

বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামীর উদ্দেশ করে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজামান  বলেছেন, মুসলিম নারীদের কথা না ভেবে স্বামী বরং হিন্দু নারীদের করুণ দশার দিকে নজর দিন।

ইসলাম ধর্মে নারীর অবস্থান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় শনিবার তিনি ওই মন্তব্য করেন।

বিজেপির সিনিয়র এমপি সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে নারীদের তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তিন তালাক এবং চার বিবি রাখার প্রথা এর বাস্তব উদাহরণ’।


তিনি আরো বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে পুরুষদের নারীদের উপরে অত্যাচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মাওলানারা ওই তথ্যকে আড়াল করতে পারেন কিন্তু ইসলাম ধর্মে এটাই বাস্তব।’

বিজেপির সিনিয়র এমপি সুব্রমনিয়াম স্বামীর মন্তব্যের সমালোচনা করে মুহাম্মদ কামরুজামান বলেন, ‘মি. স্বামী ইসলাম ধর্মে সমালোচনা করার আগে নিজের সমাজটাকে আয়নায় দেখে একবার মিলিয়ে নিন। ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করার আগে তাদের যথাযথভাবে ইসলামকে জানা প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মই সর্বপ্রথম নারীদের পুরুষদের সমান অধিকার দিয়েছে। তাদের সমাজে যে সতীদাহ প্রথা এবং বিধবাবিবাহ প্রচলন বন্ধ ছিল ইসলাম ধর্মে অতীতে বা বর্তমানে পৃথিবীর কোথাও নেই।’

তিনি বলেন, ‘নিজেদের সমাজ সংস্কার না করে তারা কথায় কথায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার নাম করে ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে রটনা চালাচ্ছেন তা কোনোভাবেই ভদ্রতার নমুনা নয়। বরং হিন্দু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাবা-মায়েদের বিরুদ্ধে যে জুলুম হচ্ছে তারা সেই অত্যাচার বন্ধ করার জন্য রাজা রামমোহনের ন্যায় ভূমিকা পালন করলে সমাজ তাদের কাছে কৃতার্থ থাকবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা মানে চাঁদের দিকে মুখ করে থুথু ফেলা, যে থুতুটা স্বামীর মুখের দিকেই পড়বে সেটা ভেবেই যেন স্বামী ইসলামের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন’।

সূত্র: পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ