হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

খাদিজার পর এবার নাহিদা!

লীগ ক্যাডার বদরুলের চাপাতির কোপে খাদিজার ঘা শুকানোর আগেই এবার ছাত্রসেনার ক্যাডার জাহিদের চাপাতি হামলার শিকার হয়েছে কক্সবাজার মহেশখালীর মাদ্রাসা ছাত্রী নাহিদা আক্তার (১৬)। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রসেনার ক্যাডার জাহিদুল ইসলাম নাহিদার মুখে, মাথায়, বুকে, পেটে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

গত শনিবার মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার নাহিদা আক্তার মহেশখালীর ফকিরজুম পাড়ার মোহাম্মদ হোছাইন-এর মেয়ে। সে ওই এলাকার কালারমারছড়া আর্দশ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হোয়ানক পুর্ব হরিয়ারছড়া এলাকার মাওলানা লোকমান হাকিমের ছেলে ছাত্রসেনার কর্মী জাহেদুল ইসলাম গত শনিবার বিকেলে নাহিদার বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে নাহিদার শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদাকে প্রথমে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর পর অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

বর্তমানে নাহিদা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাহিদার মুখে, মাথায়, বুকে, পেটে ও হাতে চাপাতির অসংখ্য আঘাত রয়েছে। এ ঘটনায় নাহিদার বাবা বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ যমুনা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাহিদার উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বখাটে জাহিদুল ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া । তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

তবে এ ঘটনায় এর আগে একাধিক শীর্ষ গণমাধ্যম শিবির ক্যাডার জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের পর শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম শিবির কর্মী অস্বীকার করে সে ছাত্রসেনার নেতা বলে দাবী করেছেন। যমুনা নিউজ

মন্তব্যসমূহ