জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

পৃথিবীর সব থেকে বেশি বয়সের জীবিত মানুষ

এমবা গোতো। ইন্দোনেশিয়ার প্রবীনতম নাগরিক। বয়স আনুমানিক ১৪৬ বছর। ১০ সন্তানের পিতা তিনি। ছিল ৪ বউ, যদিও কেউই এখন আর বেঁচে নেই। এমবা গোতো এখন তাঁর পরিবারের এক এবং অন্তিম জীবন যিনি দেড় শতক ধরে পৃথিবীর বুকে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। ১৮৭০ সালে জন্ম, এখন তিনি দেড়শোর দিকে...। এই প্রদীপ নিভলেই যবনিকা  টানা হবে ইতিহাসের জীবন্ত দিনপঞ্জির। ঠিক মনে নেই, কবে জন্মেছিলেন! এমবা গোতো শুধু এই টুকুই মনে করতে পারেন বর্ষবরণের এক সন্ধ্যায় জন্ম হয়েছিল তাঁর, এমনটাই নাকি তাঁকে বলেছেন তাঁর মা বাবা। আর এই 'মিথ'কে মাথায় রেখেই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সেলিব্রেট হল এমবা গোতোর জন্মদিন। পরিবারের দাবি তাঁর বয়স হল ১৪৬।
২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়ার জনগণনা অনুযায়ী সরকারি ভাবেই এমবা গোতোর বয়স নথিভুক্ত করা হয়েছিল ১৪২ বছর। সেই হিসেব করলে তিনি এখন ১৪৮। তবে পরিবার বলছে তিনি ১৪৬। নিজের জন্মদিন মনে করতে না পারলেও এমবা গোতো এখনও স্পষ্ট মনে করতে পারেন সেই দিনের কথা যেদিন তিনি চিনির কারখানা তৈরি করেছিলেন।
১৯৮৮ সালে তাঁর ৪ স্ত্রীর মধ্যে শেষ জন মারা যান। সেই থেকেই নিঃসঙ্গ জীবন। তবে জীবনের প্রতি তাঁর প্রেম কিন্তু আজও অটুট। জীবনকে ছাড়তে চাইলেও, জীবন যে তাঁকে বেঁধে রেখেছে, যেমন নোঙর বেঁধে রাখে নৌকাকে। ১২২ বছর যখন বয়স তাঁর, জীবন থেকে মোহ উঠে যায়। তবে মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরতে এখনও পারেননি এমবা গোতো। দীর্ঘায়ুর রসদ কী? জানতে চাইলেই এমবা গোতো আধো আধো সুরে বলেন, "ধৈর্যই তাঁর দীর্ঘায়ুর একমাত্র কৌশল"। তবে অনেকেই মনে করেন এমবা গোতোর জন্ম বৃত্তান্ত সঠিক নয়।  নতুনবার্তা

মন্তব্যসমূহ