হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শিক্ষায় বরাদ্দ ব্যয় নয়, বিনিয়োগ: প্রধানমন্ত্রী

আধুনিক বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তা ব্যয় নয়, আমার কাছে মনে হয় বিনিয়োগ। কারণ এই অর্থ ব্যয়ে আমরা আমাদের প্রজন্মকে গড়ে তুলছি।


রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাখাতে আমরা যেই বরাদ্দ রাখছি তাকে ব্যয় বলছি না। কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা অর্জন করে দেশকে গড়বে। জাতিকে উন্নতি ও জ্ঞানের শিখরে নিয়ে যাবে- এজন্য আমরা শিক্ষাখাতের বরাদ্দকে ব্যয় নয়, বিনিয়োগ হিসেবেই দেখি।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সকল ধর্মের বিষয়ে আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যার যার ধর্ম শিক্ষা সে গ্রহণ করবে। কিন্তু সামগ্রিক শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনে সমান নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ উত্তীর্ণ হচ্ছে। আমি আশা করি, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শিক্ষাখাতে উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্যমুক্ত ও নিরক্ষরতামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণ করতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন, সুশিক্ষিত আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতি স্বরূপ আমরা ইউনেস্কো ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। সরকার সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) বাস্তবায়ন করেছে।

সরকাররের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় বিত্তবানদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়ের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ লাভে উপকৃত হবে। এতে তার পরিবার, দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
এ সময় প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।নতুনবার্তা

মন্তব্যসমূহ