হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নিহত ৪ পুলিশ সদস্যের পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

গত জুলাই মাসে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদ জামাতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত চার পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকার নয়টি চেক হস্তান্তর করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এসব কথা জানিয়েছে।

গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট রবিউল করিম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান। এ ছাড়া ৭ জুলাই শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন কনস্টেবল জহুরুল হক ও আনসারুল হক।

আজ রবিউল করিমের মা-বাবা ও স্ত্রীর হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী-ছেলেমেয়ে, কনস্টেবল আনসারুল হকের মা-স্ত্রী এবং কনস্টেবল জহিরুল হকের মায়ের হাতেও চেক তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সান্ত্বনা দেন এবং ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এনটিভি

মন্তব্যসমূহ