হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর, গুরুতর আহত মেয়ে


মর্মান্তিক ঘটনা বরানগরে। স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। গুরুতর আহত মেয়েও। আজ ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে কলকাতার বরানগর থানার ফকির ঘোষ রোডের একটি আবাসনে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পেশায় ব্যবসায়ী বিকাশ কাপুর (৩৮) এক বছর আগে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন ওই আবাসনে। ভোররাতে তাদের ফ্ল্যাট থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে যান তারা। গিয়ে দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বিকাশ কাপুরের স্ত্রী রেশমী কাপুর। আহত তাদের নাবালিকা মেয়ে। পারিবারিক বচসা চলাকালীন বিকাশ কাপুর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে প্রথমে আঘাত করেন বলে অনুমান প্রতিবেশীদের। পরে পালটা মেয়ের অস্ত্রের কোপে আহত হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় বরানগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তিনজনকেই। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মা ও মেয়েকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যান স্ত্রী রেশমী কাপুর। তার মেয়ে আরজি করে চিকিৎসাধীন। বিকাশ কাপুরের চিকিৎসা চলছে বরাহনগর হাসপাতালে।


প্রতিবেশীরা জানান, একবছর ধরে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকলেও কখনও কোনো ঝামেলা, ঝগড়াঝাটি সামনে আসেনি ওই পরিবার থেকে।

রেশমী কাপুরের বাবা বিজয় বর্মন জানান, গতকাল রাতেই পাশের পাড়ায় তাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে সেখান থেকে নাতনিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় মেয়ে ও জামাই। তারপরই সকালে ঘটনার খবর পান তারা। কী করে কী হলো বুঝে উঠতে পারছেন না। বরানগর থানার পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কালের কণ্ঠ

মন্তব্যসমূহ