জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ১৭

 




এক বছর ধরে চালানো বিমান হামলা ও সম্মুখ যুদ্ধের পরও গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সংগঠিত হচ্ছে এমন আশঙ্কার ভিত্তিতে সেখানে গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। উদ্ধরকর্মীরা জানিয়েছেন, এই হামলায় ৯ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছে। মূলত জাবালিয়া এলাকাকে কেন্দ্র করে চলে এই বিমান হামলা। খবর এএফপির।


গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ অধিবাসীই এখন বাস্তুচ্যুত এবং এই ভূখণ্ডটির বেশিরভাগ বাড়িঘর ও অবকাঠামো ইতোমধ্যে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮৭০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। হতাহতদের অধিকাংশই নিরীহ সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক।


অন্যদিকে, গত বছরের ঠিক আজকের দিনে (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে গাজায় যে যুদ্ধের সূচনা হয় তা চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।


ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের উদ্দেশে গতকাল রোববার দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, গাজা ও লেবাননে  অবশ্যই ইসরায়েল বিজয় লাভ করবে। এছাড়া ইরানেও হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। তিনি তার বক্তব্যে হামাসকে ভেঙেচুরে ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেও জানান।


লেবাননের সীমান্ত এলাকায় এই সফরে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘এক বছর আগে আমরা প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলাম। তবে পরের ১২টি মাস আমরা বাস্তবতাকে রূপান্তর করেছি।’


ইসরায়েলে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি ওই অনুষ্ঠানে সৈন্যদের বলেন, ‘আমরা হামাসের সামরিক শাখাকে পরাজিত করতে পেরেছি।

মন্তব্যসমূহ