হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

৮ যাত্রী পুড়িয়ে হত্যা : সাবেক রেলমন্ত্রী ও আইজিপির বিরুদ্ধে মামলা

 




কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আট যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ১৯০ জনের বিরুদ্ধে আইকন বাসের মালিক আবুল খায়ের মামলা করেছেন। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৫ নং আমলি আদালতে এই মামলা করা হয়।


মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য চৌদ্দগ্রাম থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে গভীর রাতে আইকন পরিবহণে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে আট যাত্রী পুড়ে মারা যায়। 


বাসমালিক আবুল খায়ের বলেন, চালক ও তার সহকারীর সঙ্গে কথা বলে জানেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হয়। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বাসমালিককে ডেকে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় মুজিবুল হক তাঁকে থাপ্পড় মেরে বলেন এই লাইনে কীভাবে বাস চালাস তা দেখে নেব। পরে তার লিজ নেওয়া ৫টি বাস তারা নিয়ে যান। এরপর তিনি ১০ বছর পালিয়ে ছিলেন।


মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‌্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক এসপি শাহ আবিদ হোসেন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম থানার সাবেক ওসি উত্তম চক্রবর্তী, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন।


উল্লেখ্য, এই ঘটনায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল।

মন্তব্যসমূহ