হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মণিপুরে বাড়ছে সহিংসতা, নারীসহ নিহত আরও ২

 




ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে সহিংসতায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।


মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে সহিংসতায় কুকি-জো সম্প্রদায়ের একজন নারী এবং একজন সাবেক সৈনিক নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম নেজাহোই লুংডিম এবং সাবেক ওই সৈন্যের নাম লিমখোলাল মেট। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রেজিমেন্টের সাবেক হাবিলদার।


উভয়ই মণিপুরের কাংপোকপি জেলার বাসিন্দা এবং পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারান। বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, কাংপোকপির থাংবুহ গ্রামের একটি গির্জার সামনে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত লুংডিমের মরদেহ পাওয়া যায়।


রোববার গভীর রাতে ওই গ্রামের কাছে একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলাকারীরা হামলা চালালে ওই নারী ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।


অন্যদিকে ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই গ্রামে কাংপোকপির মটবুংয়ের বাসিন্দা লিমখোলাল মেটের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তার মরদেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রোববার গভীর রাতে তিনি ভুলবশত গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন।


এদিকে এই দুটি ঘটনার পর পার্বত্য জেলা কংপোকপি ও চুরাচাঁদপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে উপত্যকায় ছাত্ররা রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী অপসারণ এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে থাউবাল এবং ইম্ফলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।


অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে মণিপুরের রাজভবন ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। এ সময় ডিসি অফিসে টানানো পতাকা নামিয়ে সাতরঙা একটি পতাকা উড়ায় তারা।


দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সংস্করণ ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইস্টমোজোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মণিপুরের শিক্ষার্থীরা সোমবার সেখানকার প্রধান প্রধান সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজভবন ও থৈবালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।


এর আগে, রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবিতে রাজধানী ইম্ফলের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় তারা রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করে।

মন্তব্যসমূহ