হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আমার কথা না শুনলে এখানে আমার দরকার নেই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

 




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমি দেশে আসার সময় শুনেছি, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে, চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আমার প্রথম দায়িত্ব হলো দেশে আইনশৃঙ্খলা ফেরানো।’


আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।


ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনার যদি আমাকে বিশ্বাস করেন তাহলে এগুলো বন্ধ করেন। যদি আমরা এগুলো বন্ধ করতে না করতে পারি, তাহলে আমার কোনো প্রয়োজন নেই। যদি আমাকে প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে আমাকে দেখাতে হবে আমার কথা আপনারা শুনেন।’


অধ্যাপক ড. ইউনুস বলেন, ‘আমার প্রথম কথা হলো আপনার বিশৃঙ্খলা থেকে দেশ রক্ষা করেন, সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করেন। যাতে আমাদের ছাত্ররা যে পথ আমাদের দেখিয়েছে, সে পথে আমরা যেতে পারি।’


শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, ‘এখানে যারা সরকারি কর্মকর্তা আছেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী আছেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমরা সবাই একটা পরিবার। আমরা যাতে একসঙ্গে বাঁচতে পারি, বাংলাদেশেকে গড়তে পারি, সেটি আপনাদের সবার কাছে আমার কামনা।’


ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছে আবেদন, আমাদেরকে সেই সুযোগ দেন। আমরা যেন আমাদের ছাত্রদের দেখানো শান্তির পথে অগ্রসর হয়ে নিজেদের প্রশান্তি পাই।’

মন্তব্যসমূহ