হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আমার বাসার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না : প্রধানমন্ত্রী

 




দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা এখন দুর্নীতিবাজদের ধরতে পারছি বলেই সবাই জানতে পারছে। আমার বাসায় কাজ করে গেছে, সেই পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সে হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটাই বাস্তব কথা।’


প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার (১৪ জুলাই) তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তার সদ্যসমাপ্ত চীন সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন জানলাম সঙ্গে সঙ্গে তাকে (পিয়ন) বাসা থেকে বের করে দিয়েছি। তার কার্ডটার্ড (পরিচয়পত্র) সব বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছি। ধরার পড়ার পরই এখন সবাই জানতে পেরেছে। 


সাম্প্রতিক সময়ে একটি বাহিনীর প্রধান ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি জনসম্মুখে আসার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের দেশ বলেই কথা না। সারা বিশ্বে যে দেশটাই অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির দিকে যায়, সেখানে কিছু লোক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। তাদের হাতে কিছু টাকা চলে যায়। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে এসব দুর্নীতির জন্য।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করা আর ফাইল চুরি এক কথা নয়। একজন সাংবাদিক ফাইল চুরি করল আর স্বনামধন্য একটি দেশ তাকে পুরস্কার দিয়ে দিল। ফাইল চুরি করে সে এখন হিরোইন হয়ে গেলো। আমরা এ ধরনের অপরাধীদের ধরি আর তারা হিরো হয়ে যায়। আর আমরা তো জিরো আছিই।


সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা কররে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচিত্র এ দেশ, বিচিত্র এ দেশের মানুষের মন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্বিবিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে সেও এখন কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার।


আন্দোলনকারীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার প্রশ্ন- মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পাবে না তো কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদেরকে দিয়েছে?

মন্তব্যসমূহ