হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে হামলা চালাল ছাত্রলীগ

 




ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে তারা হামলা চালায়।


প্রত্যক্ষদর্মীরা জানায়, ছাত্রলীগের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে। সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আহতদের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। অনেকে ভয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন।


এ সময় মাইকিং করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের হয়ে যেতে বলেন আনসার সদস্যরা। মারধরের পর সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।


হেলমেট পরে আবারও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে যান।


ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাফিজ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, আহত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে এসেছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন।


শাহাবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরশাদ হোসাইন বলেন, ‘এখানে সবাই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আন্দোলনকারীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যারা আছেন, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর অতর্কিত হামলার ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিক এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের উপস্থিতির আগেই হামলাকারীরা ঢামেক ত্যাগ করেছে।’


পুলিশ মোতায়েন


আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দিনভর ছাত্রলীগের হামলার পর ঢাবি এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের পাশে রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ঢাবি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।


থমথমে ক্যাম্পাস


আজ বিকেল ৩টার দিকে ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রথম হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এরপর পুরো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। থেমে থেমে চলতে থাকে হামলা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অনেক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স ও রিকশাযোগে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।


বিকেল ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে ফের হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এখানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। ঢামেকের সামনেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।


কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মন্তব্যসমূহ