হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

 




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতার ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। পরিবার, পরিজন, বাবা-মা সবার মায়া ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেছেন। আমার দল ও মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে সবসময় সম্মানিত। তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’


আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‌‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।’


তিনি বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। আমি জানি হয়ত অনেকে আমাদের দলের সমর্থনে নাই। অন্য জায়গা চলে গেছে বা অনেকের অনেক কিছু থাকতে পারে। যে যেখানে যাক সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না। আমার বিবেচ্য হলো তারা তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় এনে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে বলে আমি মনে করি।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবসময় তারা অবহেলিত ছিল। আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা গর্ব করে যেন বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমার মতামতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে। তারপরও সে মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাছে সবাই সম্মানিত। সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ দেবে, এটাই আমরা চাই।’


অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

মন্তব্যসমূহ