হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণে ৩৫ জনের প্রাণহানি

 




আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা সোমবার (১৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।


তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কুরাইশি বদলুন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় জালালাবাদ ও নানগারহারের কিছু জেলায় ঝড়বৃষ্টিতে ৩৫ জন নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছে।’


বদলুন বলেন, প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির কারণে গাছ, দেয়াল ও মানুষের বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


‘হতাহত আরও বাড়তে পারে’ এ কথা উল্লেখ করে কুরাইশি বদলুন বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য নানগারহার আঞ্চলিক হাসপাতাল এবং ফাতিমা-তুল-জাহরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, সাদা ও নীল ইউনিফর্ম পরা স্বাস্থ্য কর্মীরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত ভবন এবং উপড়ে পড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখা যায়। নানগারহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় জালালাবাদের প্রাদেশিক রাজধানীতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ ছিল। তারা জানায়, অনেক নাগরিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে হাসপাতালে রক্ত দিয়েছেন।


তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা নিহতদের পরিবারের জন্য শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।’


মুজাহিদ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘ইসলামী আমিরাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তারা বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয়, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবে।


আফগানিস্তানে মে মাসে আকস্মিক বন্যায় শত শত লোক মারা যাওয়ার পর এবং দেশের কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। যেখানে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বেঁচে থাকার জন্য কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল।

মন্তব্যসমূহ