হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর

 




লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর গ্যালিলি ফরমেশেনের সদরদফতরে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গ্রুপটি অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি টার্গেটগুলোতে কাতিয়ুশা রকেট দিয়ে হামলার দাবিও করেছে। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগতে দেখা গেছে।


গত অক্টোবর থেকেই ইসরাইলে হিজবুল্লাহ ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই প্রথমবারের মতো ইরান-সমর্থিত গ্রুপটি এক স্কয়াড্রোন ড্রোন হামলার কথা ঘোষণা করল।


হামলার সময় বেশ কয়েকবার উত্তর ইসরাইলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে, অধিবাসীদের দ্রুত শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা লেবানন থেকে বিস্ফোরক বোঝাই একটি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। এছাড়া উত্তর ইসরাইলে আরো অন্তত দুটি ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে।


এই হামলার পর উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন লেগে যায়। অন্তত ৩০ ইসরাইলি দমকল ইউনিট এসব আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে।


ইসরাইলি দমকল বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগুনে কোনো জীবন বা বাড়িঘরের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়নি। তবে তারা সম্প্রদায় ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।


তারা জানায়, তারা ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আগুন নেভানোর কাজ করছে।


গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। এর ফলে ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে বড় ধরনের সঙ্ঘাত সৃষ্টির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।


সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে ইসরাইলি হামলা তীব্র হয়েছে।


সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল ও রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ