রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, শনিবার তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি

  সপ্তাহান্তেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী! সূত্রের খবর, ৮ জুন, অর্থাৎ আগামী শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন মোদী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করতে এবং পদত্যাগপত্র জমা দিতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন মোদী। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার আর সংসদের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। তবে জোট হিসাবে গরিষ্ঠতা রয়েছে এনডিএর। ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসন-সহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ২৯২টি। লোকসভা আসনের সংখ্যার হিসাব বলছে, সব কিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদী। সেই আবহে খবর, আগামী শনিবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন তিনি। জোট এনডি

আল-জাজিরার অফিসে ইসরাইলি পুলিশের অভিযান


ইসরাইলে আল-জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ 
দেওয়ার পর জেরুজালেম অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জেরুজালেমের একটি হোটেল কক্ষ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতো কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি।

অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা পোশাকের অফিসাররা একটি হোটেল রুমে ক্যামেরার সরঞ্জাম ভেঙে ফেলছেন। হোটেলটি পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত বলে আল-জাজিরা সূত্র জানিয়েছে।

যতদিন গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকবে ততদিন আল-জাজিরা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। সংবাদ মাধ্যমটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে নেতানিয়াহু সরকার।

আল-জাজিরা এ পদক্ষেপটিকে ‘অপরাধমূলক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমটি ইসরাইলি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি এমন দাবি হাস্যকর ও মিথ্যা বলেও মন্তব্য করেছে। কার্যক্রম বন্ধ করায় সাংবাদিকদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সমালোচনার পাশাপাশি যুদ্ধের সময় ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ পরিবেশন করে আসছিল আল-জাজিরা।

মন্ত্রিসভা ভোটের পরে নেতানিয়াহু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে বলেছেন,  ইসরাইলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের যোগাযোগ মন্ত্রী ‘অবিলম্বে কাজ বন্ধ’ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে আইনি লড়াইয়ে যেতে পারবে সংবাদ মাধ্যমটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মধ্যে ইসরাইলে আল-জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করা, সম্প্রচার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা, কেবল ও স্যাটেলাইট সংস্থাগুলো থেকে চ্যানেলটি বন্ধ করা এবং এর ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 

তবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাও আল-জাজিরা বন্ধের সমালোচনা করেছে। এক্সে সংস্থাটি লিখেছে, আমরা ইসরাইলে আল-জাজিরা বন্ধের সিদ্ধান্তে মর্মাহত। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মুক্ত ও স্বাধীন মিডিয়া অপরিহার্য৷ কিন্তু এখন গাজা থেকে রিপোর্ট করার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা মূল মানবাধিকার। আমরা সরকারকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই। 


মন্তব্যসমূহ