হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলা, আহত ৭

 

গাজা ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিংয়ের কাছে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে সেনাসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখাগুলো ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, একটি সামরিক অবস্থানের কাছাকাছি এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

হামাসের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সন্ত্রাসীরা কেরেম শালোম ক্রসিং এলাকায় রকেট নিক্ষেপ করছে। ইসরাইল জীবন রক্ষা করে যাবে আর হামাস জীবন ধ্বংস করে যাবে। 

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামরিক অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাস। 

এদিকে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে লেবানন থেকে নর্দার্ন ইসরাইলে ৬৫টি রকেট ছোঁড়া হয়। কয়েকটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

হামাস ইসরাইল সংঘাতের মধ্যে লেবানন থেকে চালানো সবচেয়ে বড় হামলা এটি। এর আগে আজ কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহ ২০টি রকেট নিক্ষেপ করে।

মন্তব্যসমূহ