হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে: ডিবি প্রধান 


দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মেনে নির্বাচনে না এসে যারা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তারাই আবার পুলিশ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলায় বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে। 

তিনি আরও বলেন, ‌‘একদিকে তারা নির্বাচনে আসে না। অপরদিকে প্রতিদিনই ককটেল নিক্ষেপ করছে। তাদের অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। অনেকের নাম ও নম্বর পেয়েছি। তারা যেখানেই থাকুক, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ 

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কোনো দল বা মামলার আসামিরা মানববন্ধন করতে চায়, তবে তাদের (বিভিন্ন মামলার আসামিদের) গ্রেপ্তারে কোনো বাধা নেই।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মানুষের জানমালের ক্ষতি যেন কেউ না করতে পারে, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে—সেদিকে খেয়াল রাখা। পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা। 

মন্তব্যসমূহ