হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ’, বিএনপিতে ফেরার প্রশ্নে শাহজাহান ওমর


আবারও বিএনপিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেছেন, তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শাহজাহান ওমর বলেন, (সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পর থেকে) বিভিন্ন সময় আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। অনেকেই আমাকে ফোনে কটূক্তি করেছে। আমাকে ফোনে না পেয়ে আমার মেয়েকে, আমার ছেলেকেও ফোনে অকথ্য কথাবার্তা বলছেন।

ডিগবাজীর কারণেই কি আপনি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিগবাজি মানে কি ভাই? তখন এক সাংবাদিক বলেন, এক দল থেকে আরেক দলে যাওয়া। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, এটাকে ডিগবাজি বলে নাকি! এটাতো আমার সাংবিধানিক অধিকার।

সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার প্রসঙ্গে নৌকার এ প্রার্থী বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি। আমি তখন বলেছি, তোমরা আমার ফটো তুলেছো কেন? এখন তারা যদি লুকিয়ে লুকিয়ে ফটো তোলে তাহলে তো আমি বলবোই। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমি দুর্ব্যবহার করিনি। কখনো প্রশ্নই ওঠে না। এখন আপনারা মিডিয়া পারসন হিসেবে আমাকে নানান প্রশ্ন করতেই পারেন। কিন্তু একজন সিনিয়র সিটিজেনের সঙ্গে সৌজন্যতাও তো দেখানো উচিত।

দল পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, একটা দল করা আর দল পরিবর্তন করা- এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, সাংবিধানিক স্বার্থে আমি দল পরিবর্তন করতেই পারি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে সুপ্রিম কোর্টে যান শাহজাহান ওমর। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। যদিও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার জন্যই সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন- এমনটা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলাম।’

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে শাহজাহান ওমরের প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার খবরও এসেছে।



মন্তব্যসমূহ