হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে ৫০ গুণের বেশি


১০ বছরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ। বর্তমানে তার কাছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা আছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা এবং দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দশম সংসদ নির্বাচনের সময় ইনুর কাছে নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিল। একাদশ নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৬ টাকা। আর বর্তমানে তার কাছে আছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে তার নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ।

এ ছাড়া এবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইনুর জমা আছে ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৪ টাকা, যা ৫ বছর আগে ছিল ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা এবং ১০ বছর আগে ছিল ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ১৫৬ টাকা।

হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, ইনুর বর্তমানে বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ছিল ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ টাকা এবং ১০ বছর আগে ছিল ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭৮২ টাকা।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্যের স্ত্রী আফরোজা হকেরও নগদ টাকা বেড়েছে। ১০ বছর আগে তার কাছে নগদ টাকা ছিল মাত্র ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯০ টাকা। ৫ বছর আগে ছিল ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা। এখন তার নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা।

এ ছাড়া ১০ বছর আগে আফরোজা হকের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল মাত্র ৮০ হাজার ৪৯৩ টাকা। ৫ বছর আগে তার কাছে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৭ টাকা থাকলেও এখন আছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৭০ টাকা।

হলফনামায় হাসানুল হক ইনু নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার ও তার ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের মধ্যে কৃষি খাতে কোনো আয় নেই। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতন-ভাতা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে।

মন্তব্যসমূহ