হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৫০

 




ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে পৃথক দুটি স্কুলে চালানো হামলায় তারা প্রাণ হারান।


ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।


ওয়াফা বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার গাজা উপত্যকার উত্তরে দারাজ এলাকায় দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে স্কুল দুইটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।


ইসরারয়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র বলছেন, তারা স্কুলে এই হামলার প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখছেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, হতাহতের এই খবরটি তাদের আলাদাভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।


প্রায় দুই মাস ধরে চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে স্কুল, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, মসজিদ, গির্জা কোনো কিছুই হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ১৫ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোর।

মন্তব্যসমূহ