হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অনাহারে কাটছে গাজাবাসীর দিন

 




জাতিসংঘ সাহায্য সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অধিকৃত গাজা ভূখণ্ডে লড়াই চলতে থাকায় সেখানকার অর্ধেক অধিবাসী না খেয়ে থাকছেন। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপপরিচালক কার্ল সাকাউ জানান, উপত্যকাটিতে খাদ্যের চাহিদার একটি সামান্য অংশ কেবল প্রবেশ করতে পারছে। আর এ কারণে প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন লোক প্রতিদিন খাবার খেতে পারছেন না। খবর বিবিসিরি


কার্ল সাকাউ বলেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে খাদ্য সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।


অপরদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং তাদের হাত থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করতে অবশ্যই তারা গাজায় হামলা চালিয়ে যাবে।


এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষ বিভাগের মুখপাত্র লে. কর্নেল রিচার্ড হ্যাচ ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘যেকোনো বেসামরিক লোকের মৃত্যুই বেদনাদায়ক, কিন্তু আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।’


ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হেরজি হালেভিকে এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সৈন্যদের আরও কঠোর হওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন। তার ভাষ্য, ‘সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পণ করছে, যা তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ার একটি লক্ষণ।’


৭ অক্টোবরের পর থেকে অধিকৃত উপত্যকা গাজায় নাগরিকদের চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। সেদিন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে প্রায় এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা করে এবং ২৪০ জনের মতো বিদেশি ও ইসরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করে।


এর জবাবে ইসরায়েল গাজার সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং উপত্যকাটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে, যার মধ্যে সাত হাজার শিশু রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ