হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই: ইসি রাশেদা

জাতীয় নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার রিটার্নিং,সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।   

তিনি বলেন, কে হরতাল-অবরোধ দেবে তা আমরা বলতে পারবো না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে ভোটের যে পরিবেশ তৈরি রয়েছে, সেই পরিবেশ বজায় থাকবে। ভোটাররা সংসদ সদস্য হিসেবে যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, তিনিই সংসদে যাবেন। আসন্ন নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা তা নিয়ে কমিশন চিন্তা করছে। 

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে আমরা প্রচার-প্রচারণা, উদ্দীপনামূলক এবং টিভিসি প্রস্তুতের কাজ করছি।আগে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখালে কোনো ধরনের শাস্তির বিধান ছিল না। এবার সংশোধিত আইনে ভয়-ভীতি প্রদর্শনকারীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, মাঠ প্রশাসনে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই এটি সত্য নয়। এক দিনের নোটিশে আজ আমি প্রস্তুতি সভা করেছি।এ থেকে বোঝা যায় মাঠ প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কি না। 

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ