হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর

 




নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।


মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন তিনি।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক রাষ্ট্র থেকে কারা কারা নির্বাচন দেখতে আসছেন, তার তালিকাও পেয়েছি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই। আমাদের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, সেদিকেও আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে।


এ সময় বিএনপিকে আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, শুরু থেকেই নিবন্ধিত ৪৪টি দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এখনও আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের সময়সীমা হেরফের করা হবে। তারপরেও চাই প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক।


সেনাবাহিনী নির্বাচনের দিনে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দাবি করে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনের দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ রিটার্নিং কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মাঠে ছিল, এবারও সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।


মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন। এতে জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেয়।

মন্তব্যসমূহ