জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর

 




নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।


মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন তিনি।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক রাষ্ট্র থেকে কারা কারা নির্বাচন দেখতে আসছেন, তার তালিকাও পেয়েছি। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই। আমাদের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা যেন পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, সেদিকেও আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে।


এ সময় বিএনপিকে আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, শুরু থেকেই নিবন্ধিত ৪৪টি দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এখনও আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের সময়সীমা হেরফের করা হবে। তারপরেও চাই প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক।


সেনাবাহিনী নির্বাচনের দিনে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে দাবি করে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনের দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ রিটার্নিং কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মাঠে ছিল, এবারও সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।


মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন। এতে জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেয়।

মন্তব্যসমূহ