চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১১১

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ১১১ জন নিহত ও ২২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।  ভূমিকম্পটি ৬.১ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে দ্য ইউরোপিয়ান ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি)। এটির উৎপত্তিস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝোর ১০২ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৫.৯ মাত্রার। আর চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২। ভূমিকম্পের পর কয়েকবার পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের পর পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।  গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন।

দ্বিতীয় দফায় ১৭ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, ৩৯ ফিলিস্তিনি পেলেন মুক্তি 


যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় আরও ১৭ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা আজ রোববার ইসরাইলে পৌঁছায়। 

এদিকে ইসরাইলি কারাগার থেকে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের। 

টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, গাজা থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে রেডক্রসের বাসে চড়ে মিশরে যাচ্ছেন হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা। এবার মুক্তি পাওয়া ১৭ জিম্মির মধ্যে ১৩ জন ইসরাইলি নাগরিক ও চারজন থাইল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। 

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, মুক্তি পাওয়া ১৩ ইসরাইলি জিম্মির মধ্যে ছয়জন নারী ও সাত শিশু-কিশোর রয়েছে। 

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, মুক্ত জিম্মিরা ইসরাইলে পৌঁছেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তারা পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হবে। 

ইসরাইল সরকার জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পাওয়া ৩৯ ফিলিস্তিনি পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরে তাদের বাড়িতে ফিরে গেছে। তাদের ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া সবাই নারী ও শিশু-কিশোর। 

গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দফায় জিম্মিদের মুক্তি দিতে দেরি করছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠিটি হামাস। তারা দাবি করে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা আসতে বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। এই ত্রাণ আসতে দিলেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে; এর আগে নয়। এমনকি কারাগারে বন্দিদের মুক্তি দিতেও নিয়ম মানছে না ইসরাইল। 

কাতারের মধ্যস্থতা হওয়া ইসরাইল-হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরাইল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে।




মন্তব্যসমূহ