হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

দুই হাত না থেকেও নাশকতার মামলায় কারাগারে রফিকুল


দুই হাত না থাকলেও নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হন রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।  বুধবার রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন

বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় রফিকুলকে।  

এদিকে প্রায় দুই যুগ আগে এক দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। অথচ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গত ২৬ অক্টোবর করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ মামলায় রফিকুল ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর ৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। 

রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রফিকুল বাসা থেকে বের হওয়ার পর স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  

রফিকুলের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, রফিকুল শারীরিকভাবে অসুস্থ ও পঙ্গু। ২০০১ সালে একটি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। তার দুই হাতই তখন পুড়ে যায় এবং পরে কেটে ফেলতে হয়। 

হাসিনা জানান, কারও সাহায্য ছাড়া রফিকুল কিছুই করতে পারেন না। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি খেতেও পারেন না। এছাড়া, তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন।
তিনি বলেন, বুধবার ভোরে আমার স্বামী ফজরের নামাজ আদায় করে ভাটারার মাদানী এভিনিউতে হাঁটতে বের হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে পিকেটার সন্দেহ করে নির্মম নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করে।

জানতে চাইলে ভাটারা থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, 'গ্রেফতারকৃতরা জামায়াতের লোক। তারা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের পুলিশে সোপর্দ করে। ’

ভাটারা থানার ওসি কাজী মাইনুল হক যুগান্তরকে বলেন, রফিকুলকে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।  পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

মন্তব্যসমূহ