হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরায়েলের হামলায় ৬১৪ শিশুসহ ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত

 




ইসরায়েলের হামলায় ৬১৪ শিশুসহ এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।


শনিবার (১৪ অক্টোবর) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।


এতে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর প্রতিশোধ হিসেবে ফিলিস্তিনে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল সেনারা। তারা গাজায় বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গত সাত দিনে সাংবাদিক, চিকিৎসক ও বেসামরিক নাগরিকসহ এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৬১৪ জন শিশু ও ৩৭০ জন নারী রয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ফিলিস্তিনি।


অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই।


এদিকে, উত্তর গাজায় বসবাসকারী ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু, তার আগেই বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৭০ জনের প্রাণ গেছে।


হামাস কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তারা সবাই ইসরায়েলের হামলার ভয়ে উত্তর গাজা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় পালাচ্ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ