হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হিজাব আইন লঙ্ঘন: টার্কিশ এয়ারলাইনসের অফিস বন্ধ করে দিলো ইরান

 




তেহরানে টার্কিশ এয়ারলাইনসের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। এয়ারলাইনসটির কর্মীরা হিজাব আইন লঙ্ঘন করায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 


গেল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) অভিযান চালিয়ে অফিসটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসে বুধবার (১০ জুলাই)। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজও পুলিশের বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে। 

 

জানা যায়, সোমবার (৮ জুলাই) টার্কিশ এয়ারলাইনসের ওই অফিসে যায় পুলিশ। সেখানকার নারী কর্মীদের হিজাব পরতে না দেখে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, নারীদের মাথা ঢাকতে অস্বীকৃতি ইরানের আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু সে সময় নারী কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এতে ক্ষুব্ধ হয় পুলিশ। 


পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পুলিশ আবারও সেখানে যায় এবং অফিসটি বন্ধ করে দেয়। 

 

তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এখনও অফিসটি খোলার ব্যাপারে কিছু জানায়নি পুলিশ। এ নিয়ে মুখ খোলেনি টার্কিশ এয়ারলাইনসও। ধারণা করা হচ্ছে, উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। 


প্রসঙ্গত, ইরানে কর্মক্ষেত্রে ও ঘরের বাইরে হিজাব বা মাথা ঢাকা বাধ্যতামূলক। কর্মীরা হিজাব না পরায় গত কয়েক বছরে অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ