হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করল জামায়াত

 



আগস্টের প্রথম দিন সমাবেশ করতে না পেরে নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী ৪ আগস্ট, শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। আজ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি।


মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। 


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আজ ১ আগষ্ট জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে সহযোগিতা চেয়ে চিঠিও প্রদান করা হয়। পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চিঠিটি গ্রহণ করেন। পরে আজকের সমাবেশ বাস্তবায়নে আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’


‘কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, ডিএমপি কমিশনার আমাদেরকে সমাবেশ না করার জন্য মৌখিকভাবে জানানোর পাশাপাশি ডিএমপির মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছেন, জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা যদি ডিএমপির সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে সমাবেশ বা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, বলেন মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। 


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন নেই। সভা-সমাবেশ করা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। কিন্তু সরকার জামায়াতে ইসলামীকে অন্যায়ভাবে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। যা আইনের শাসনের পরিপন্থী ও মৌলিক অধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। বারবার সহযোগিতা চাওয়ার পরও সরকার সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না।’


লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। আমরা কোনো ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষে বিশ্বাসী নই। দীর্ঘ ১০ বছর পর গত ১০ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্বল্প সময়ের নোটিশে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছিল। সেই দিন একটি সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণ ঐতিহাসিক সমাবেশ উপহার দিয়েছিল। এবারও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার আমাদের সমাবেশ করতে না দিয়ে চরম অন্যায় করেছে। আমরা আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’


মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘এই সরকার স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগণের দাবি আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে বদ্ধপরিকর। আমাদের এই দাবি আজ গণ দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা জনগণের দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবে না, ইনশাআল্লাহ।’


তিনি আরও বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি স্থগিত করে আগামী ৪ আগস্ট, শুক্রবার রাজধানীতে পুনরায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আমরা আশা করি পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা প্রদান করবে।’

মন্তব্যসমূহ