জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ডিজিটাল বাংলাদেশের সমালোচনাকারীরাই বেশি সুবিধা নিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

 




ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিল তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর সভায় তিনি এ কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটি পূরণ করেছি। এবার সরকারের লক্ষ্য- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে এ রূপান্তর। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট- এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।


শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তিতে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ প্রযুক্তি খুব দ্রুত ধারণ করতে পারে। এখন সবাই মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখেছে। আমরা চাই সবাই প্রযুক্তিগত দিকে দক্ষ হয়ে উঠুক। আমরা গ্রাম পর্যায়ে, স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার দিয়েছি।


তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বিল অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এখন এটির সুফল ভোগ করছে জনগণ। আগের মতো আর সিরিয়াল দিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আমরা মানুষকে প্রস্তুত করেছি উন্নত প্রযুক্তিতে যাওয়ার। অথচ একসময় এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল, ব্যঙ্গ করতো। আমরা তাদের কথায় কান দেইনি। এগিয়ে গেছি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে। আজকে তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে।


আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রতিটি টেলিফোন ছিল অ্যানালগ। আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল টেলিফোন চালু করি। আর মোবাইল ফোন ঢাকা আর চট্টগ্রাম ছাড়া কোথাও চলতো না। একটা মাত্র কোম্পানি ছিল, মোবাইলে কল করলে ১০ টাকা প্রতি মিনিট, ধরলেও ১০ টাকা প্রতি মিনিট। সেই জায়গা থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল মানুষের হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে দেওয়া। আজকে কম খরচে কথা বলা, ইন্টারনেট চালাচ্ছে সবাই।

মন্তব্যসমূহ