জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে গুলি করে হত্যা

 




ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে স্থানীয় সময় বুধবার (৯ আগসট) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।


এদিন একটি জনসভা শেষ করে গাড়িতে উঠছিলেন ফার্নান্দো। তখনই গুলি ছোড়া হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।


ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওর প্রচারণার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার প্যাট্রিসিও বলেন, ‘ইকুয়েডরের মানুষ কাঁদছেন। রাজনীতির কারণে এভাবে যেন কারো মৃত্যু না হয়।’


অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়, হামলাকারী পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।


ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২০ আগস্ট। মোট আটজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। জনমত সমীক্ষায় ফার্নান্দো ছিলেন পাঁচ নম্বরে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া মনোভাবের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।


ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো বলেন, ‘ফার্নান্দোর স্মৃতি এবং তার লড়াইকে সম্মান জানাতে সব দোষীদের ধরে শাস্তি দেওয়া হবে।’


গুইলারমো লাসো বলেন, ‘এই ধরনের সংগঠিত অপরাধীদের সাহস খুব বেড়ে গেছে। আইন এবার সর্বশক্তি নিয়ে তাদের মোকাবিলা করবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের নিয়ে আমি জরুরি বৈঠক করব।’


ফার্নান্দো ছিলেন সাবেক সাংবাদিক। গত ছয় বছর ধরে তিনি পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার দল ছিল বিল্ড ইকুয়েডর মুভমেন্ট।তার লড়াই ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।


ইকুয়েডরে অপরাধী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

মন্তব্যসমূহ