মহাসমাবেশ থেকে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল শনিবার ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান করবেন বিএনপি নেতারা।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের সময় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি দিল দলটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। জনগণের ওপর অনাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। আমাদের সামনে একটি লক্ষ্য, আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের সেবার জন্য শপথ নিয়েছেন। জনগণকে হয়রানি করবেন না। মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার বন্ধ করুন। আমাদের কর্মসূচি আমাদেরকে সুন্দরভাবে পালন করতে দিন।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে জুমার নামাজের পর কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপিসহ বিরোধী ৩৬টি রাজনৈতিক দলের ঘোষিত সরকার পতনের একদফা দাবিতে এটিই ছিল প্রথম কোনো মহাসমাবেশ। গত ২২ জুলাই সোহারাওয়ার্দী উদ্যানের তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ২৭ জুলাই নয়াপল্টন বা সোহারওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির ঘোষণার পর একই দিন ঢাকায় তারুণ্যের শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের ৩ সহযোগি সংগঠন। নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে বিএনপি ২৪ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে আবেদন করলে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করতে অনুমতি চায় আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠন। সবশেষ গত ২৬ জুলাই কর্মদিবস দাবি করে উভয় দলের কাউকেই পল্টন এবং দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বিকল্প হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে গোলাপবাগ এবং আওয়ামী লীগকে আগারগাঁওয়ের বাণিজ্যমেলার মাঠ বরাদ্দ দিলেও একদিন পিঁছিয়ে ২৮ জুলাই নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। বিএনপির পর আওয়ামী লীগও একদিন পিঁছিয়ে পুনরায় দক্ষিণ গেটে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। নানান নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার ২ দলকেই চাহিদামত স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি।
মন্তব্যসমূহ