হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

চট্টগ্রামে জামায়াত - পুলিশ সংঘর্ষ, আটক ২১




 চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একটি গাড়িও। পরে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরীর ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মোড় এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি চৌমুহনী মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা বক্তব্য দেন।


এরপর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে।


আবু আরিফ নামের চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, ‘নামাজ শেষে জামায়াত-শিবির মিছিল বের করে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে আমরা কয়েকজন শিবিরের কর্মীকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।’


চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, তারা নারায়ে তাকবীর আল্লাহ আকবর স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ডবলমুড়িং থানার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুকুল চাকমাসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।



মন্তব্যসমূহ