হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ছাত্রলীগ সভাপতিকে যে হুমকি দিলেন নুর

 




পুরোনো একটি হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ২০ বছর পরে হলেও এই মামলায় সাদ্দাম হোসেনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন।


গতকাল শুক্রবার রাতে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের একটি টকশোতে নুরুল হক নুর এই হুমকি দেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি থাকার সময় নুরুল হক নুরের ওপর হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলার ঘটনায় ডাকসুর তৎকালীন সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন জড়িত বলে অভিযোগ করেন নুর।


হামলার ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে টকশোতে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আপনাকে ২০ বছর পরে হলেও আসামি করব, কাঠগড়ায় দাঁড় করাব। সাদ্দাম হোসেন জেনে রাখেন, ভিপি নুর বেঁচে থাকলে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে—এই হামলার মূলহোতা হিসেবে।’


এ সময় নুরকে থামিয়ে দেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। তিনি সাদ্দাম হোসেনকে কথা বলার অনুরোধ করেন। নুরের মামলার হুমকির জবাবে সাদ্দাম বলেন, ‘আপনি অবশ্যই করবেন।’


অনুষ্ঠানে নুরুল হক নুরের সমালোচনা করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘চাকরি করতে চাওয়া একজন যখন হুট করে রাজনীতিবিদ বনে যায়, তার কথাগুলো আসলে এরকমই হওয়ার কথা। আমরা যখন চাকরির জন্য আন্দোলন করেছিলাম, তখন প্রত্যাশা করেছিলাম, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কোনো পরীক্ষায়, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অন্তত তিনি (নুর) সুযোগ পাবেন।  বিসিএসের কোনো প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নুরের নাম দেখা গেল না। আমরা তার নাম দেখলাম, বিকাশ অ্যাকাউন্টের টাকার তালিকায়, নগদ অ্যাকাউন্টের তালিকায়, রকেট অ্যাকাউন্টের তালিকায়। তার নাম দেখলাম বিদেশি দূতাবাস থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেওয়ার তালিকায়। এই হচ্ছে কোটা কোটায় বনে যাওয়া একজন ভিপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।’

মন্তব্যসমূহ