হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

 




লোডশেডিং, বিদ্যুৎ সংকট সমাধানসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে  সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এতে বাধা দিয়েছে পুলিশ৷ পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।


আজ সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে  গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা। দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে তাদের বাধা দেওয়া হয়। মিছিলে বাধা দেওয়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে এক দফা ধস্তাধস্তিও হয়। পরে তারা আব্দুল গণি রোডের জিরো পয়েন্ট মোড়ে বসে সমাবেশ শুরু করেন।


মিছিল পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, এ দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এ মুহূর্তে দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই।


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ বছর বাংলাদেশে যত মুদ্রার ঘাটতি দেখা গেছে তা গত কয়েক বছরে হয়নি। এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবেন না, নিরাপত্তা পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। এ সরকারের যাবার সময় হয়েছে। এ সরকার হচ্ছে স্বৈরাচারী, বদমাশ, লুটপাটের সরকার। এ সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাত। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কায়দা দেখাত। এজন্যই আমরা বলি, তোমাদের সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।


সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক  সাইফুল হক বলেন, গরিবকে আরও গরিব বানানোর প্রজেক্ট বর্তমান বাজেট। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ বলছি, এখনো আপনাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার একটি রাস্তা খোলা আছে। এখন পর্যন্ত সংকট সমাধানের রাস্তা খোলা আছে। এর মধ্যে যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তবে ঈদের পর গণতন্ত্র মঞ্চ আরও শক্তিশালী হবে।


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীতে তারা কুপোকাত হয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে সরকার যা করল; এখন বিদ্যুতের দাম কত কত হয়েছে তা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সমস্ত পণ্য তৈরি করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকট কাজে লাগিয়ে সরকার পয়সা হাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করছিল। এ পয়সা ১-২ পয়সা নয়, হাজার কোটি টাকা।

মন্তব্যসমূহ