হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাব মাঝি নিহত

 




আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা উপ-কমিউনিটির এক নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি ৯-ডি ব্লকের আব্দুস শুকুরের ছেলে নুর হোসেন ওরফে ভুট্টো (৪২)। তিনি ওই ব্লকের সাব-মাঝি ছিলেন।


শনিবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ইস্ট-২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৯-ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।


উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, নুর হোসেন ওরফে ভুট্টো শনিবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯-ডি ব্লকে নিজের বসত ঘরের সামনে স্থানীয়দের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ১০-১২ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি কয়েকটি গুলি ছুঁড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ ভূট্টোকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তারপরও ঘটনার কারণ নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ভুট্টোর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্যসমূহ