হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘কারও খবরদারির কাছে নতজানু হব না, এটাই সিদ্ধান্ত’: প্রধানমন্ত্রী

 




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আমাদের। স্বাধীন জাতি আমরা। যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেই আমরা আমাদের দেশ পেয়েছি। কারও খবরদারির কাছে আমরা নতজানু হব না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’


আজ রোববার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


এ সময় দুর্নীতি করতে নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে তার সরকার কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিল (বিএনপি) বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির কারণে তখনো বিশ্ব ব্যাংক তাদের অর্থ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকারের সাহস ছিল না যে তাদের প্রতিবাদ করে, কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যখন আমাদের উপর দোষারোপ করল আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ আমার কোন দূর্বলতা ছিল না। আগের সরকার পারেনি কারণ তাদের দূর্বলতা ছিল। তারা সত্যিই দুর্নীতি করেছিল। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি।’


সরকার প্রধান বলেন, ‘তখন সবাই টাকা সরিয়ে নেয়। সাথে সাথে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করব। আমরা নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করে আমাদের সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছি।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে পারি, এই একটা ঘটনাই কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেমন প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু শর্ত আর শর্ত আর নানা কথা, এখন আর সেটা করতে কেউ সাহস পায় না। বাংলাদেশকে এখন সকলেই সমীহর চোখে দেখে। আমি মনে করি, এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’


তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি আমরা। যা শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগেনি, করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের ডিজিটাল সিস্টেম কাজে লেগেছে।’

মন্তব্যসমূহ