হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় মিসাইল কমান্ডার নিহত

 




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের মিসাইল কমান্ডার নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।


গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণে হামাদ রেসিডেন্সিয়াল সিটির একটি বাড়ির পাঁচতলায় হামলা চালায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। সেই হামলায় ফিলিস্তিনি মিসাইল কমান্ডার নিহত হন।


গতকাল বুধবার (১০ মে) গাজা থেকে ইসরেয়েলকে লক্ষ্য করে ৪৬০টিরও বেশি রকেট ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর ফলে প্রচুর ইসরায়েলি নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য ছোটেন। বেশ কয়েকজন আহত হন।


এরপরই ইসরায়েলের সেনা গাজায় ১৩০টি জায়গায় আক্রমণ করেছে। প্রতিটি জায়গাই সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ছিল বলে দাবি তাদের।


সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় মোট ২৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনজন ইসলামিক জিহাদের কমান্ডার আছে।


ফিলিস্তিন ইসলামিক জেহাদের (পিআইজে) পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের মিসাইল কমান্ডার আলি হাসান ঘালি ওরফে আবু মুহাম্মদ মারা গেছেন। হামাসের পর পিআইজে হলো গাজায় ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় সংগঠন।


ইসরায়েলের সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়, রকেট হামলার পেছনে যারা ছিল, তাদেরই আক্রমণ করা হয়েছে এবং তিনজন কমান্ডার মারা গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি।

মন্তব্যসমূহ