যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
এর আগে গতকাল রোববার সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইটে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। এরপর রোববার সৌদি সময় রাত ১টার দিকে জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশিদের বহনকারী ফ্লাইটটি।
রোববার সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইটে প্রথম দফায় পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছান ৭০ বাংলাদেশি। পরে আরও দুই দফায় পৌঁছান ৬৫ জন।
এ সময় তাদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সুদানে আটকেপড়া বাকি ৫৪০ জন বাংলাদেশিকে দ্রুত সৌদি আরবে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক।
সুদানে আটকেপড়া বাকিদের কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
জাবেদ পাটোয়ারী জানান, সুদানফেরত বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে ফিরতে যারা নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে বড় ধরনের সংঘাত চলছে। দেশটিতে দেড় হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে ৭০০ জন দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বাংলাদেশি পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন।
সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান বন্দরে নেওয়া হয় এসব বাংলাদেশিকে। সেখান থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা।কিন্তু সময়মতো জাহাজ না পাওয়ায় বিমানে করে ১৩৫ জনকে জেদ্দা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সুদানের পরিস্থিতি অনিরাপদ হওয়ায় বাকিদেরও ফিরে আসতে বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ জানিয়েছে।
মন্তব্যসমূহ