হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ কোনদিকে, দেখুন সরাসরি

 




উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে।


বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।


আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।


আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমান গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এগোলে বা দিক না পাল্টালে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১৪ মে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।


অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখা বৈশ্বিক সংস্থা উইন্ডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৪ মে দুপুরের পর ঘূর্ণিঝড়টির সিংহভাগ মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আর বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে শুরু করে কুতুবদিয়া পর্যন্ত উপকূলে এর কিছুটা আঘাত আসতে পারে। তবে যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় দিক পরিবর্তন করতে পারে।


এদিকে ঘূর্ণিঝড় ঘিরে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ