হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সিরিয়ায় পৌঁছেছে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা

 




ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সহায়তা দেশটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো মানবিক সহায়তা প্যাকেজ সিরীয় কর্তৃপক্ষের কাছে রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে শনিবার ত্রাণ প্যাকেজটি সিরিয়ায় পৌঁছে।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সহায়তা প্যাকেজ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছেছে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান সি-১৩০জে ত্রাণগুলো বহন করে নিয়ে যায়।


এতে আরও বলা হয়, সিরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, যিনি জর্ডানের আম্মানে অবস্থান করছেন, নাহিদা সোবহান এবং সিরিয়ার স্থানীয় সরকার ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী মোতাজ দুয়াজি দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্রাণগুলো গ্রহণ করেন। 


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবিক সহায়তা প্যাকেজে রয়েছে— খাদ্য, ওষুধ, কম্বল, তাঁবু এবং শীতের কাপড়। পরে ত্রাণের পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক কমিটি অব রেডক্রসের (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়, যাতে তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত মানুষের মাঝে সেগুলো বিতরণ করতে পারে।


এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে সিরিয়ার সংশ্লিষ্টদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান, প্রেসি রিলিজে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বয় করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ