হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তুরস্কে ভূমিকম্পের পর লুটপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪৮

 






তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণঘাতি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কেটে গেছে পাঁচ দিন। সেখানে এখন লাশের গন্ধ। এরই মধ্যে আরও কোনো প্রাণ বেঁচে আছে কি-না তা জানতে ও উদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। যদিও ওই সব এলাকায় বাড়ছে লুটপাট। এরই মধ্যে ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে, লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইফ এরদোয়ান।


গত সোমবারের সাত দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল ১৯৩৯ সালের পর তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ আর এতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এতে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।


আন্তাকিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা সেখানে তাদের তৎপরতার সময় লুটতরাজের অভিযোগ এনেছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪৮ জন লুটেরাকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। লুটতরাজে অংশ নেওয়া ওই লোকজনকে তদন্তের পর আটটি আলাদা প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইফ এরদোয়ান লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ভূমিকম্পকবলিত এলাকা সফরের সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। এর অর্থ হলো, যেসব লোক লুটতরাজ ও অপহরণে জড়িত, তাদের বুঝতে হবে যে রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ