শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

তুষারপাতে নাকাল আফগানিস্তান, ১২৪ জনের মৃত্যু

 




এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ শীতকাল দেখছে আফগানিস্তান। গত ১৫ দিনে তীব্র ঠান্ডায় দেশটিতে অন্তত ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে আরো প্রায় ৭০ হাজার গাবাদিপশু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।


দীর্ঘ যুদ্ধ, তালেবানের পুনরায় ক্ষমতা দখল এবং সে কারণে নানা আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা তহবিল আটকে যাওয়ার পর এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে নারীদের শিক্ষা ও কাজ করার উপর তালেবান প্রশাসনের নানা নিষেধাজ্ঞা।


যার জেরে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে।


দেশটির নিজস্ব অর্থনীতি বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। বরং সাধারণ আফগানরা ত্রাণের উপর নির্ভর করেই জীবন চালিয়ে নিচ্ছিলেন। এখন সেটাও প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম।


প্রকৃতিও এবার তাদের বড় পরীক্ষা নিচ্ছে। ফলে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। তীব্র শীতে মানুষ প্রাণ হারালেও তাদের নির্দেশে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ আব্বাস আখুন্দ।


তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ভারি তুষারপাতের কারণে আফগানিস্তানের অনেক এলাকা সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ওইসব অঞ্চলে সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও বেশিরভাগ পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারছে না।


‘আগামী ১০ দিনে এই আবহাওয়ার উন্নতি হবে এবং তাপমাত্রা বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’


তবে এরমধ্যে আরো প্রাণহানি ও গাবাদিপশু ধ্বংস হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্যসমূহ