হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বন্যা-ভূমিধসে কঙ্গোতে মৃত্যু বেড়ে ১৬৯




 ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯ জনে। বন্যাজনিত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) শুক্রবার এ তথ্য জানায়।


বন্যার কারণে রাজধানী কিনশাসার মন্ট-এনগাফুলা জেলার অন্তত ২৮০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত এবং কঙ্গোর মূল জাতীয় সড়কের বড় একটি অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ৩৮ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত এবারের বন্যায়।


বৃহস্পতিবার ওসিএইচএ-এর এবং সরকারের একটি যৌথ টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আজ নিহতদের স্মরণে তিন দিনের জাতীয় শোক পালনের শেষ দিন। সরকার নিশ্চিত করেছে যারা তাদের জীবন হারিয়েছে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করবে।’


পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার অন্তত ২০টি দেশের ৮২ লাখ মানুষ এ সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার, জাতিসংঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।


একসময় কঙ্গো নদীর তীরে মাছ ধরার গ্রামগুলোর সমন্বয়ে কিনশাসে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। বিশাল জনসংখ্যাসহ আফ্রিকার বৃহত্তম মেগাসিটিগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে কিনশাসা।


অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ন্ত্রিত দ্রুত নগরায়ন কিনশাসাকে তীব্র বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার ঝুঁকিতে ফেলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে এসব দুর্যোগ আরও ঘন ঘন হচ্ছে। ইকুয়েত্যুর, মানিমা, নর্দ-উবাঙ্গি, সুদ-উবাঙ্গি এবং তিশোপো প্রদেশগুলো গত অক্টোবর থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে কিনশাসে ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়।

মন্তব্যসমূহ