শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

রুশ জেনারেলদের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক

 



রাশিয়ার সামরিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শুক্রবার ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এ দিনই রাশিয়ার শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। খবর বিবিসির।


শুক্রবারের পর গতকাল শনিবারও ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। গত দুই দিনের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন।


শুক্রবার দিনের অধিকাংশ সময় রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সদর দপ্তরে কাটান পুতিন। রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে সেখানে তিনি আলোচনা করেন।


ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করছেন, রাশিয়া সম্ভবত আগামী বছরের শুরুর দিকে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। ইউক্রেনের এমন আশঙ্কার মধ্যেই রুশ জেনারেলদের সঙ্গে পুতিন বৈঠক করলেন।


ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে রাশিয়ার হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। শুক্রবারের বৈঠকের ভিডিওতে দেখা যায়, পুতিনের পাশে বসে আছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভালেরি গেরাসিমভ।


সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুতিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা প্রতিটি অভিযানের দিকনির্দেশনার বিষয়ে কমান্ডারদের কথা শুনব। আমি আমাদের তাৎক্ষণিক ও মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপের বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাব শুনতে চাই।’


জেনারেল গেরাসিমভকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার হয়েছে বলে অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এই গুজবের অবসান হলো।


যুদ্ধের সমর্থক রুশ বিশ্লেষকেরা ৬৭ বছর বয়সি গেরাসিমভের বিরুদ্ধে অতি সতর্কতার অভিযোগ তুলে তাঁর কড়া সমালোচনা করে আসছিলেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, দেশটির বিমানবাহিনীর জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গত অক্টোবরে তাঁকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মন্তব্যসমূহ